শুধু একজন ক্রিকেটারই নিয়মিত খোঁজ নেন, মোশাররফ রুবেলের স্ত্রী

শুধু একজন ক্রিকেটারই নিয়মিত খোঁজ নেন, মোশাররফ হোসেন রুবেলের স্ত্রী

মোশাররফ রুবেল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার। মোশাররফ হোসেন রুবেলের একটি ছবি ১দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে, তার সেই ছবিটা দেখে সবারই অনেক বেশি মন খারাপ হয়ে। দেশবাসীর সবাই তার বর্তমান অবস্থা কি সে বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন। আর মোশাররফ হোসেন রুবেল কেমন আছেন ?

তিনি বর্তমানে মোশাররফ হোসেন রুবেল একটি ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালের আইসিউতেই ভর্তি আছেন। আজ (১৭ মার্চ) বুধবার দুপুরের খবরে জানান, তার স্ত্রী চৈতী সংবাদ মাধ্যমে জানান, মোশাররফ হোসেন রুবেল আজ একটু ভালো বোধ করছেন।

মোশাররফ হোসেন রুবেলের স্ত্রীর চৈতি আরও বলেন, ‘তিনি গতকাল ১৬মার্চে মঙ্গলবার  কথা বলতে পারেনি রুবেল। আজ আল্লাহর রহমতে একটু-আধটু কথা বলেছেন এবং কথার সাড়াও আগের চেয়ে ভালো করে দিচ্ছেন।তাকে নাকে নল দিয়ে তরল খাবার গ্রহণ করেছেন মুখে না পারলেও ।’

স্ককার হাস্পাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের  কথা নিয়ে তিনি বলেন, ‘কর্তব্যরত ডাক্তাররা আশা করছেন, মোশাররফ হোসেন রুবেল আগামীকাল আরও একটু সুস্থ হবে এবং আগামীকাল না হলেও শুক্রবার নাগাদ মোশাররফ হোসেন রুবেলকে আইসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

আরও পড়ুনঃমুস্তাফিজদের টিম বাসে হামলা

মোশাররফ হোসেন রুবেল ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। মোশাররফ হোসেন রুবেল সর্বশেষ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরেন। আর দেশে ফেরার পর মুখে একদমই খাবার খেতে পারছিলেন না। আর তিনি না খাওয়ার জন্য অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়েন। এমনকি তিনি আরও বেশি প্রচণ্ড পানিশূন্যতায় ভুগতে থাকেন। পাশাপাশি রুবেলের সোডিয়াম লেভেল  অনেক বেশি বেড়ে যায়।

মোশাররফ হোসেন রুবেলে পরিবার চিকিৎসা খরচ দিতে দিতে আর্থিকভাবে অনেক সমস্যায় পড়েছে।এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি সভাপতি) ২বার আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। এ ছাড়াও মোশাররফ হোসেনের সতীর্থরাও সহযোগিতা করে আসছেন এখনও। যার মধ্যে বিশেষ অন্যতম বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তুজা।

জীবন যুদ্ধে থাকা মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে তার স্ত্রী চৈতি সংবাদ মাধ্যমে  জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছি, আবার বিসিবির কাছ থেকেও ২বার সহযোগিতা পেয়েছি। আর খেলোয়াড়দের কথা বললে,একমাত্র মাশরাফি ভাইয়ের কথা বলব।

মোশাররফ হোসেন রুবেলকে নিয়ে  ইমার্জেন্সি স্কয়ার হাসপাতালে এসেছি, হয়তো এই ব্যাপারটা কেউ জানত না যে আমরা হাস্পাতালে আসছি। এমন কি আমার পরিবারের বাইরেও কেউ জানত না। কিন্তু হঠাৎ করেই কোথায় থেকে যেন  মাশরাফি ভাই ঠিকই জেনে যান।মাশরাফি ভাই ফোন করেন আমাদের, আর তিনি যেখানেই থাকুক না কেন, দেশে বা দেশের বাহিরে । তিনি একটা কথা বলেন যে আমাকে, ‘ভাবি আপনার এই ভাই কিন্তু আছে’।’