Ad Code

আইপিএলে দল পেলে সাকিব কি ‘মানসিকভাবে বিপর্যস্ত’ থাকত?- প্রশ্ন বিসিবি পাপনের

সাকিব যেটা করছে সেটা মেনে নেওয়ার মতো না


জাতীয় দল থেকে ছুটি চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান ১৫তম আসরের ইন্ডিয়া প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলার জন্য । সাকিব আল হাসান কে তাকে কোনো দলই কেনেনি এবারের আইপিএলে । এরপর সাকিব মানসিক অবসাদে বিরতি চাইছেন জাতীয় দলের হয়ে খেলার কথা থাকলেও ।



বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের প্রশ্ন, এমন পরিস্থিতিতে আইপিএলে সুযোগ পেলেও সাকিব আল হাসানের এই মানসিক ও শারীরিক অবসাদ কাজ করত কি না প্রশ্ন করেন পাপন?
সাকিব আল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজেকে বিরতিতে রাখার ইচ্ছা পোষণ করেছেন আসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের আগে।’

নাজমুল হাসান পাপন আরও বলেন, ‘সাকিব আল হাসান যে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এটা কে জানতো বিষয়টা? মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকলে কি সে বলত আমি আইপিএলও খেলবো  না? পাপন বলেন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলে কি করে সাকিব খেলতে চাচ্ছিল ইন্ডিয়া প্রিমিয়ার লিগ? । ধরুন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সাকিব আল হাসান  তাকে আইপিএলেও নেওয়া হল তাহলে তখন সে কি করতেন ? আমার মাথায়ই ঢুকছে না সাকিবের এই মাইন্ডসেট নিয়ে।’


সাকিব নাকি জানিয়েছিলেন, সদ্য শেষ হওয়া আফগানিস্তানের সিরিজের তিনি নাকি উপভোগ করেননি?। তিনি যদি উপভোগ না করে থাকেন তাহলে  সিরিজ শুরুর আগে আমাদের কাউকে বা টিম ম্যানেজমেন্ট কে জানালেন না কেন?

সাকিবেত যে এই সিরিজে একেবারেই  ভালো লাগেনি,আমিতো এটা  গতকাল প্রথম শুনেছি। সাংবাদিককে প্রশ্ন করে বসলেন আপনারা কি আগে টের পেয়েছিলেন?

আমি তো আসলেই কোনো কিছুই টের পাইনি। কাল সাকিব আল হাসান বলার তখন সবাই জেনেছে।এর  আগে যদি  কেউ জেনে থাকে তাহলে বলবো এটা সে মিথ্যা কথা বলছে। সাকিবের  যদি খেলতেই  ভালো না লাগে তাহলে তো আমাদের আর কিছু করার বা বলার নেই।’


বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন জাতীয় দলের হয়ে খেলতে সাকিবের এই অস্বীকার করা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না।এরকম প্লেয়ার যেকোনো দেশে যান পাবেন না। আর প্রতিটি খেলোয়াড়দের স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলের হয়ে খেলা। আর যখন কি না দল জিতে আর সেই দলে ও খেলে থাকে। আর সাকিব বলছে তার উল্টাটা, তিনি নাকি আফগানিস্তানের সিরিজ এ উপভোগই করেনি। ওয়ানডেতে জিতলাম, এটাও উপভোগ কি তিনি করেনি? টি-টোয়েন্টিতে প্রথমটা আমরা জিতলাম, এটাও কি উপভোগ করেনি সাকিব আল হাসান?


ক্ষুব্ধ বিসিবি সভাপতি আরও বলেন,  তার যদি একান্তই খেলতে না ভালো লাগে তাহলে আমাদের কাউকে জানিয়ে দাও। তখন আমরা চিন্তাভাবনা করে তাকে ছেড়ে দেবো। আর ভালো না লাগলেও যদি তার কাছে মনে হয় আমাকে জোর করে খেলানো হচ্ছে তাহলে তো অন্যরকম হয়ে যায় এটা।এগুলো বলে লাভ কি যদি খেলার মধ্যে মোটিভেশান না থাকে তাহলে কেনো এমন হবে? ডিরেক্ট আমাদের বলে দিক সেটা আমরা ভেবে চিনতে কাজ করবো।

Post a Comment

0 Comments

Close Menu